ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয়
বাংলাদেশের মতো উষ্ণ আবহাওয়ার দেশে রোদ থেকে বাঁচা প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে যখন সূর্যের তেজ অনেক বেশি থাকে তখন মাত্র কয়েক মিনিট রোদে দাঁড়ালেই ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকেই আমরা সাধারণভাবে সানবার্ন বলে জানি। সানবার্ন হলে ত্বক জ্বালাপোড়া করে, ফোলা দেখা দিতে পারে, এমনকি অনেক সময় ফোসকাও হয়ে যায়। শুধু বাহ্যিক ক্ষতিই নয়, দীর্ঘমেয়াদে এটি ত্বকের গভীরে ক্ষতি করতে পারে। তাই সানবার্ন হলে দ্রুত কিছু করণীয় জানা এবং তা মেনে চলা খুব জরুরি।
অনেকেই সানবার্নকে হালকা সমস্যা ভেবে অবহেলা করেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অবহেলা করলে এটি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, কালো দাগ পড়ে যায় এবং বারবার এমন হলে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে। আবার চিকিৎসকের কাছে না গেলে কখনো কখনো এই সমস্যা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই সানবার্নকে অবহেলা না করে সচেতন হতে হবে এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেজ সুচিপত্রঃ ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয়
- ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া
- অ্যালোভেরা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা
- পর্যাপ্ত পানি পান ও শরীরকে হাইড্রেট রাখা
- ঢিলেঢালা পোশাক পরা ও ত্বককে বিশ্রাম দেওয়া
- ঠান্ডা পানির স্নান ও সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
- প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে সান বার্নের যত্ন নেওয়া
- সূর্যের আলো থেকে রক্ষা ও ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করা
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করা
- স্বাস্থ্যকর খাবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ডায়েট
- শেষ কথা
ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া
ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে সবার আগে যা করা উচিত তা হলো আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া। এটি খুবই সহজ এবং কার্যকর একটি উপায়। ঠান্ডা পানি ত্বকের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে আনে এবং জ্বালাপোড়া অনেকটা কমিয়ে দেয়। তবে সরাসরি বরফ ব্যবহার করা ঠিক নয়, কারণ বরফের অতিরিক্ত ঠান্ডা ত্বকের কোষকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বরং বরফকে একটি পরিষ্কার কাপড়ে মুড়ে আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে চেপে ধরলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে শুধু ব্যথাই কমে না, লালভাবও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।ঠান্ডা পানির সেঁক শুধু বাইরের জ্বালাপোড়া কমায় না, বরং ত্বকের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত তাপকেও শীতল করে। ফলে ত্বকের কোষগুলো দ্রুত রিকভার করার সুযোগ পায়। অনেক সময় সানবার্নের কারণে আক্রান্ত স্থানে ফোলা বা অস্বাভাবিক গরমভাব তৈরি হয়। নিয়মিত ঠান্ডা সেঁক দিলে সেই জায়গায় রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয় এবং ফোলাভাবও কমে আসে।তাই সানবার্ন বা ত্বক পুড়ে গেলে প্রথম ধাপে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর সমাধান। এটি শুধু অস্বস্তি কমায় না, বরং দ্রুত আরোগ্যের পথও তৈরি করে।
আরও পরুনঃ বাংলাদেশে বাজেট ফ্রেন্ডলি ভ্রমণ গন্তব্য
সানবার্ন হলে কীভাবে যত্ন নিতে হবে, তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর এবং প্রথম করণীয় হলো ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া। তবে এই সেঁক দেওয়ার সময় কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আক্রান্ত স্থান সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়। তাই এখানে খুব বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। অল্প চাপই অনেক সময় তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। এজন্য সবসময় আলতো করে সেঁক দিতে হবে।ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার সঠিক নিয়ম হলো দিনে অন্তত কয়েকবার ১০–১৫ মিনিটের জন্য এটি করা। প্রথমবার করার পরই জ্বালাপোড়া কিছুটা কম অনুভূত হবে, তবে নিয়মিত করলে কয়েক দিনের মধ্যেই ত্বকের অবস্থার উন্নতি স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। আক্রান্ত স্থান ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে, লালচেভাব ও ফোলাভাব কমে যাবে।যারা নিয়মিত রোদে কাজ করেন বা বাইরে দীর্ঘ সময় কাটান, যেমন অফিসগামী বা মাঠে কাজ করা মানুষ, তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। তারা চাইলে একটি ছোট বোতলে ঠান্ডা পানি বা একটি আইসপ্যাক সবসময় সাথে রাখতে পারেন। এতে করে হঠাৎ সানবার্ন হলে দ্রুত ব্যবহার করা সম্ভব হয় এবং ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমানো যায়। প্রাথমিক পদক্ষেপ যত দ্রুত নেওয়া যায়, তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়।শুধু আরাম দেওয়ার জন্য নয়, ঠান্ডা পানির সেঁক ত্বকের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত তাপকেও দূর করে দেয়। এতে ত্বকের কোষগুলো স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসার সুযোগ পায়। একই সঙ্গে আক্রান্ত স্থানে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়, ফলে ফোলাভাবও কমে আসে। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা সবসময় সানবার্নের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।সবশেষে মনে রাখা দরকার, সানবার্ন অবহেলা করলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রাথমিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা সেঁক সহজ, নিরাপদ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নিয়মিত ও সঠিকভাবে করলে শুধু ব্যথা ও অস্বস্তি কমে না, বরং কয়েক দিনের মধ্যেই ত্বক অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে।
অ্যালোভেরা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা
ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয়।সানবার্ন হলে ত্বক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর আর্দ্রতা হারিয়ে। রোদে অতিরিক্ত সময় থাকার ফলে ত্বক ভেতর থেকে শুকিয়ে যায় এবং বাইরের স্তর ভেঙে যায়। ফলে ত্বকে টান টান ভাব, চুলকানি আর অস্বস্তি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত আরাম পেতে হলে ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে জরুরি কাজ। এজন্য অ্যালোভেরা জেল এবং ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে কাজ করে।
অ্যালোভেরা প্রকৃতির এক অনন্য উপহার, যা শত শত বছর ধরে ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের জ্বালাভাব কমায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। সরাসরি গাছ থেকে অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে ত্বকে লাগালে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। বাজারে পাওয়া যায় এমন অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই ফ্র্যাগরেন্স ফ্রি এবং অ্যালকোহল মুক্ত হওয়া উচিত।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাও এই সময়ে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় মানুষ ভাবে সানবার্নের জায়গায় কিছু না লাগানোই ভালো, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায় এবং ফাটতে শুরু করে। এজন্য প্রতিবার ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়ার পর হালকা হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। তবে ভারী বা অয়েলি ক্রিম ব্যবহার না করে হালকা ফ্র্যাগরেন্স ফ্রি লোশন ব্যবহার করাই ভালো। এতে ত্বক শ্বাস নিতে পারে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়।অ্যালোভেরা বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ত্বকে ঘষাঘষি করা যাবে না। অনেকেই বেশি ভালো করার আশায় জোরে লাগান, যা উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। বরং আলতো করে লাগালে সেটি ত্বকে সহজেই মিশে যাবে এবং স্বাভাবিকভাবেই কাজ শুরু করবে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এই প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলে ত্বকের শুষ্কতা ও জ্বালা অনেকটাই কমে যায়।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি এই সময়ে প্রচুর পানি খাওয়ার পাশাপাশি ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র রাখা যায়। অ্যালোভেরা ও ময়েশ্চারাইজার বাইরে থেকে কাজ করে, আর পানি ভেতর থেকে সহায়তা করে। এভাবে ভেতর বাহির দুদিক থেকেই যত্ন নিলে কয়েক দিনের মধ্যেই সানবার্ন হওয়া ত্বক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তাই সানবার্ন হলে অ্যালোভেরা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা শুধু একটি করণীয় নয়, বরং এটি একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা উচিত।
পর্যাপ্ত পানি পান ও শরীরকে হাইড্রেট রাখা
ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয়।সানবার্ন হলে শুধু ত্বকের উপরের স্তরই নয়, পুরো শরীর ভেতর থেকে প্রভাবিত হয়। রোদে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে শরীর দ্রুত পানি হারায়, যাকে আমরা ডিহাইড্রেশন বলি। এর প্রভাব সরাসরি ত্বকে পড়ে, ফলে জ্বালাপোড়া, শুষ্কতা এবং টান টান ভাব বেড়ে যায়। তাই সানবার্ন থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। যত বেশি পানি খাওয়া যায়, তত দ্রুত ত্বকের কোষগুলো পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
অনেক সময় মানুষ ভাবে শুধু বাইরে থেকে লোশন বা অ্যালোভেরা দিলেই যথেষ্ট। কিন্তু আসল সত্য হলো ত্বকের স্বাস্থ্য নির্ভর করে শরীরের ভেতরের পানির ভারসাম্যের উপর। যদি ভেতরে পর্যাপ্ত পানি না থাকে, তাহলে বাইরে যত ক্রিমই লাগান না কেন, খুব বেশি ফল পাওয়া যায় না। এজন্য দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শুধু পানি নয়, ডাবের পানি, লেবুর শরবত বা ফলের রসও হাইড্রেশনের ঘাটতি পূরণে দারুণ কাজ করে।ডিহাইড্রেশনের কারণে ত্বক আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সানবার্নের জায়গায় ফাটল দেখা দেয়, ত্বক খোসা উঠতে শুরু করে এবং ব্যথা বেড়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে, ত্বকের কোষগুলো আর্দ্রতা ফিরে পায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত নিরাময় হতে শুরু করে। এটি অনেকটা গাছকে পানি দেওয়ার মতো শুকিয়ে যাওয়া গাছ পানি পেলে যেমন আবার সতেজ হয়ে ওঠে, তেমনি শরীরও পর্যাপ্ত পানির যোগান পেলে দ্রুত সুস্থ হয়।
শুধু পানি খাওয়াই নয়, খাবারের মাধ্যমেও শরীরকে হাইড্রেট রাখা সম্ভব। শসা, তরমুজ, কমলা বা আনারসের মতো ফল খেলে শরীরে একদিকে যেমন ভিটামিন যোগ হয়, অন্যদিকে পানি ঘাটতিও পূরণ হয়। এসব ফল সানবার্নে আক্রান্ত শরীরকে ভেতর থেকে শীতল করে। তাই বাইরে থেকে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ভেতর থেকেও যত্ন নেওয়া দরকার, আর সেটির সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণ।সব মিলিয়ে বলা যায়, সানবার্ন হলে ভেতরের হাইড্রেশন বজায় রাখা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় কাজগুলোর একটি। বাইরে থেকে যত্ন নিলেও যদি শরীর ভেতর থেকে শুকিয়ে যায়, তবে সুস্থ হতে সময় অনেক বেশি লাগবে। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে, শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক পানীয় খাবার অভ্যাস করতে হবে। এটি শুধু ত্বক নয়, পুরো শরীরের জন্য উপকারী।
ঢিলেঢালা পোশাক পরা ও ত্বককে বিশ্রাম দেওয়া
ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয়।সানবার্ন হলে অনেকেই প্রথম দিকে বুঝতে পারেন না যে ত্বকের সবচেয়ে বেশি দরকার বিশ্রাম। রোদে পোড়া জায়গাগুলো এমনিতেই সংবেদনশীল হয়ে যায়। তার উপর আঁটসাঁট বা মোটা কাপড় পরলে ত্বকের উপর চাপ পড়ে এবং জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়। এজন্য সানবার্নের পর যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা, হালকা এবং বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা উচিত। এতে ত্বক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে এবং সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
অনেকে ভুল করে টাইট জিন্স, সুতির মোটা জামা বা সিন্থেটিক কাপড় পরে নেন, যা ত্বকের ক্ষতি আরও বাড়িয়ে দেয়। সিন্থেটিক ফ্যাব্রিক ত্বকে ঘাম জমিয়ে রাখে, ফলে ফুসকুড়ি বা ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। তাই তুলার তৈরি নরম কাপড় বা ঢিলেঢালা জামা সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এই ধরনের পোশাক ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং পোড়াভাব অনেকটা কমিয়ে আনে।সানবার্নে আক্রান্ত জায়গায় ঘর্ষণ বা চাপ কমাতে পারলেই ব্যথা ও অস্বস্তি কমে যায়। তাই রাতে ঘুমানোর সময়ও হালকা চাদর ব্যবহার করা ভালো, যাতে ত্বকের সাথে শক্ত কিছু না লেগে যায়। দিনের বেলা সম্ভব হলে শরীর ঢেকে রাখুন, কিন্তু কাপড় যেন হালকা হয়। এতে সূর্যের অতিরিক্ত রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং একই সাথে পোড়াভাব কমে।
শুধু পোশাক নয়, ত্বককে বিশ্রাম দেওয়া মানে হলো অতিরিক্ত প্রসাধনী বা কেমিক্যাল এড়িয়ে চলা। সানবার্নের পর মেকআপ, পারফিউম, বা সুগন্ধি লোশন ব্যবহার করলে জ্বালা আরও বাড়তে পারে। ত্বককে নিজে নিজে সেরে ওঠার সুযোগ দিতে হবে। এই সময়টা আসলে ত্বকের জন্য রিল্যাক্সেশনের সময়। বেশি কিছু করার দরকার নেই বরং যতটা সম্ভব ত্বককে চাপমুক্ত রাখতে হবে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঢিলেঢালা পোশাক শুধু আরামই দেয় না বরং এটি শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। সানবার্নে আক্রান্ত মানুষদের জন্য এটি একধরনের ওষুধের মতো। তাই যে কেউ যদি দ্রুত আরাম চান তাহলে প্রথম কাজ হবে টাইট পোশাক বাদ দিয়ে হালকা নরম আর বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক ব্যবহার করা।
ঠান্ডা পানির স্নান ও সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
সানবার্ন হলে শরীর ভেতর থেকে প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে যায়। তখন ঠান্ডা পানির স্নান শরীরকে শান্ত করতে অসাধারণ কাজ করে। তবে এখানে ঠান্ডা মানে বরফঠান্ডা নয়, হালকা শীতল পানি ব্যবহার করতে হবে। বরফ বা অত্যধিক ঠান্ডা পানি সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সঠিক উপায়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমে যায় এবং আরাম পাওয়া যায়।
গোসল করার সময় সাবান বা শক্ত কোনো বডিওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং পোড়াভাব আরও বাড়ায়। বরং শুধুমাত্র ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলা বা খুব হালকা, ফ্র্যাগ্র্যান্স-ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক পরিষ্কারও থাকবে, আবার অপ্রয়োজনীয় জ্বালাও বাড়বে না। যদি কেউ চায়, তবে পানিতে সামান্য ওটমিল বা বেকিং সোডা মিশিয়েও গোসল করতে পারে। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ঠান্ডা করে এবং আরাম দেয়।গোসলের পর শরীর খুব জোরে মুছা যাবে না। অনেকেই অভ্যাসবশত তোয়ালে দিয়ে জোরে ঘষে শরীর শুকান, কিন্তু সানবার্নের সময় এটি একেবারেই করবেন না। এতে ত্বক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। বরং নরম তোয়ালে দিয়ে হালকাভাবে চাপ দিয়ে পানি শুষে নেওয়া উচিত। এর পরপরই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে, যাতে ত্বক শুকিয়ে না যায়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মানে হলো ত্বককে শুধু বাহ্যিকভাবে পরিষ্কার রাখা নয়, বরং তাকে সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া। সানবার্নের সময় ত্বক সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই কোনোভাবেই ময়লা, ঘাম বা ধুলো ত্বকের উপর জমতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করার মাধ্যমে শরীর সতেজ থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।সবচেয়ে বড় কথা হলো ঠান্ডা পানির স্নান শুধু শরীরকে শান্তই করে না, বরং মনেরও প্রশান্তি আনে। সানবার্নে ভোগা মানুষ মানসিকভাবেও বিরক্ত হয়ে যায়।তাই ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয় প্রতিদিন এক বা দুইবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে মনও অনেক ভালো থাকে। ফলে শরীর ও মন দুই দিক থেকেই সেরে ওঠা সহজ হয়।
আরও পরুনঃ সস্তায় কক্সবাজার ট্যুর বাজেট ফ্রেন্ডলি ভ্রমণ পরিকল্পনা
প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে সান বার্নের যত্ন নেওয়া
সানবার্ন হলে প্রথমেই অনেকের মাথায় আসে ওষুধ বা বাজারের ক্রিম। কিন্তু চাইলে ঘরেই কিছু প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে দারুণ ফল পাওয়া যায়। এগুলো একেবারে সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। ত্বককে ঠান্ডা রাখা ও দ্রুত আরাম দেওয়ার জন্য এগুলো বহু পুরনো ও পরীক্ষিত সমাধান।অ্যালোভেরা জেল সানবার্নের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় উপাদান। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ আছে, যা ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায় এবং আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে। অনেক সময় বাজারের অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়, তবে সম্ভব হলে সরাসরি গাছ থেকে জেল বের করে ব্যবহার করাই ভালো। এটি একদিকে ঠান্ডা প্রভাব আনে, অন্যদিকে ত্বককে ভেতর থেকে মেরামত করে।শসা আরেকটি দারুণ উপাদান। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শসা পাতলা স্লাইস করে সানবার্ন হওয়া জায়গায় রাখলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যায়। শসায় প্রচুর পানি থাকে, যা ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ফ্রেশ অনুভূতি দেয়। শুধু তাই নয়, শসার প্রাকৃতিক শীতলতা সানবার্নের দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে।
দুধ বা দইও কাজে আসে। অনেকেই হয়তো জানেন না, দুধে থাকা প্রোটিন আর ল্যাকটিক অ্যাসিড সানবার্ন কমাতে সাহায্য করে। একটি পরিষ্কার কাপড় দুধে ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখলে চামড়ার লালচেভাব ও জ্বালাভাব দ্রুত কমে যায়। একইভাবে দইও সরাসরি লাগানো যায়, এতে ত্বক ঠান্ডা থাকে এবং আর্দ্রতা ফিরে আসে।এসব ঘরোয়া উপায় শুধু ত্বককে আরামই দেয় না, বরং সানবার্ন থেকে দ্রুত সেরে উঠতেও সহায়তা করে। বাজারের অনেক ক্রিম বা লোশনে কেমিক্যাল থাকে যা সংবেদনশীল ত্বকে আরও সমস্যা করতে পারে।ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয় অ্যালোভেরা শসা বা দই একেবারে নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী সমাধান। তাই প্রাথমিক যত্নের জন্য এগুলো ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ।
সূর্যের আলো থেকে রক্ষা ও ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করা
সানবার্ন হলে আক্রান্ত ত্বক সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়। অতিরিক্ত রোদে ত্বক লালচে হয়ে যায়, জ্বালা ও ব্যথা শুরু হয়, এবং ফোসকা বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ত্বককে সূর্যের অতিরিক্ত রশ্মি থেকে রক্ষা করা। বাইরে বের হওয়া প্রয়োজন হলে সবসময় ছাতা, হালকা ক্যাপ, বা লম্বা স্লিভের ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করা উচিত। এগুলো ত্বককে রোদ থেকে নিরাপদ রাখে এবং আরাম দেয়।অনেকে মনে করেন সামান্য রোদ বা হালকা সূর্য ত্বকের ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, সানবার্ন হওয়ার পর প্রতিটি রশ্মিই ত্বকের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ফলে লালচেভাব, ফোলা এবং ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়তে থাকে। তাই এই সময়ে সূর্য থেকে দূরে থাকা, ছায়াযুক্ত জায়গায় অবস্থান করা বা হালকা কাপড় ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এমনভাবে ত্বক শ্বাস নিতে পারে এবং আরাম বোধ করা যায়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও অপরিহার্য। SPF 30 বা তার বেশি সূর্য সুরক্ষা সম্বলিত লোশন বা জেল ব্যবহার করলে সানবার্নের ক্ষতি কমে এবং পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে যারা বাইরে দীর্ঘ সময় কাটান, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি বারান্দা বা সামান্য খোলা জায়গাতেও হালকা রোদ ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে, তাই সতর্ক থাকা উচিত।ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি হালকা, নরম কাপড়ও খুব উপকারী। তুলার তৈরি কাপড় ত্বককে শ্বাস নিতে সাহায্য করে, ঘর্ষণ কমায় এবং আরাম দেয়। এই সময়টি ত্বককে বিশ্রাম দেওয়ার সময়। কোনও টাইট বা সিন্থেটিক কাপড় ব্যবহার না করা সবচেয়ে ভালো। কারণ এগুলো ঘাম জমিয়ে রাখে এবং ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে যায়।
শুধু রক্ষা নয়, পুনরায় সানবার্ন হওয়ার ঝুঁকি কমানোও জরুরি। নিয়মিত ছাতা, হালকা পোশাক ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। মানসিকভাবেও এটি সাহায্য করেযখন ব্যথা ও জ্বালা কমে, তখন ঘুম ও মানসিক শান্তি বজায় থাকে। তাই সানবার্নের পর রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করা হলো একদম অপরিহার্য ধাপ।সব মিলিয়ে বলা যায়, ত্বকের আরাম, দ্রুত সুস্থতা এবং পুনরায় ক্ষতি এড়াতে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয় ছাতা, ক্যাপ এবং সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি হালকা পোশাক পরার অভ্যাস করলে, ত্বক নিরাপদ থাকে এবং সানবার্নের অস্বস্তি অনেক কমে যায়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করা
সানবার্নের সময় শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুনরায় সুস্থ করতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ঘুম না থাকে তাহলে এই প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং ত্বক দীর্ঘ সময়ের জন্য শুষ্ক লাল বা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্ত হয় না। তাই সানবার্নের পর শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।শরীরকে আরাম দেওয়ার জন্য শুধু শুয়ে থাকা নয় ঘুমের মানও গুরুত্বপূর্ণ। গভীর ঘুমের সময় শরীর ভেতর থেকে কোষগুলো পুনর্নির্মাণ শুরু করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সানবার্নের ফলে যেসব মানুষ রাতে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব করেন, তাদের জন্য ভালো মানের পিলো এবং হালকা কম্বল ব্যবহার করা উত্তম।
এতে ঘুমের ব্যাঘাত কমে এবং শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।বিশ্রাম শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। সানবার্নের ফলে অনেকেই কষ্ট, অস্বস্তি ও বিরক্তি অনুভব করেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং কিছু সময়ের জন্য ধ্যান বা শান্ত পরিবেশে থাকা মনকে প্রশান্তি দেয়, যা পুনরায় শক্তি অর্জনে সাহায্য করে। এই মানসিক শান্তি শরীরকে দ্রুত শীতল ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।শারীরিক এবং মানসিক বিশ্রাম একসাথে নেওয়া হলে ত্বকের আরাম ও সুস্থতা অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। একদিকে সানবার্নের লালচেভাব হ্রাস পায়, অন্যদিকে ত্বক পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটে। তাই সানবার্ন হলে যতটা সম্ভব হালকা কাজ করা, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া এবং নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া উচিত।সবশেষে বলা যায়, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম হলো সানবার্নের চিকিৎসার একটি অপরিহার্য ধাপ। এটি শরীরকে ভেতর থেকে সাহায্য করে, ব্যথা কমায় এবং ত্বককে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। তাই যারা সানবার্নের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের দিকে নজর দেওয়া।
স্বাস্থ্যকর খাবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ডায়েট
সানবার্নের পর শুধু বাহ্যিক যত্নই নয়, ভেতরের যত্নও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ক্ষতি দ্রুত পুনরায় ঠিক করার জন্য শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিন দেওয়া আবশ্যক। সানবার্নের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ডায়েট গ্রহণ করলে ত্বক দ্রুত পুনর্গঠন শুরু করে এবং শুষ্কতা, লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমে।বিশেষভাবে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার সানবার্নে কার্যকর। ভিটামিন সি ত্বকের কোষ পুনরায় গঠনে সাহায্য করে এবং কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তা করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে।
এছাড়া ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ত্বককে মুক্ত র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। এই ধরনের খাবারে রয়েছে ফলমূল যেমন কমলা, কিউই, স্ট্রবেরি, বাদাম, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদি।ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও সানবার্নের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। স্যামন, চিয়া সিডস বা ফ্ল্যাক্সসিডে ওমেগা ৩ থাকে, যা প্রদাহ হ্রাস করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এছাড়া হালকা প্রোটিন যেমন ডিম, লিন্টিল বা চিংড়ি খেলে ত্বক দ্রুত পুনরায় শক্তিশালী হয়। এই খাবারগুলো ভেতর থেকে ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে এবং বাইরের যত্নকে আরও কার্যকর করে।
পর্যাপ্ত পানি, ফলমূল এবং হালকা স্যালাড খাওয়ার অভ্যাসও সানবার্নের পরে জরুরি। এগুলো শুধু ত্বককে আর্দ্র রাখে না, বরং শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং পুনরায় জ্বালাভাব কমায়। অনেক সময় মানুষ বাইরে থেকে যত্ন নেন কিন্তু ভেতরের পুষ্টি উপেক্ষা করেন। তখন আরাম অনেক সময় কমে যায়। তাই বাইরে এবং ভেতর দু’দিকে সমন্বিত যত্ন নেওয়া সবচেয়ে ভালো।সবশেষে বলা যায় সানবার্নের পর স্বাস্থ্যকর খাবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ডায়েট গ্রহণ করা হলো একেবারেই অপরিহার্য। এটি ত্বককে দ্রুত সুস্থ করে শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী রাখে এবং পুনরায় সানবার্ন হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয় হল যারা সানবার্ন থেকে দ্রুত আরাম পেতে চান তাদের জন্য এটি শেষ কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
শেষ কথা
সানবার্নের পরে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি, ভিটামিন সমৃদ্ধ ডায়েট এবং সঠিক বিশ্রাম ত্বককে দ্রুত পুনরায় সুস্থ করে তোলে। এছাড়া প্রাকৃতিক উপায় যেমন অ্যালোভেরা, শসা বা দই ব্যবহার করলে ত্বক আরাম পায় এবং জ্বালাপোড়া কমে।এই ধাপগুলো একসাথে মেনে চললে, সানবার্নের লালচেভাব, ফোলা ও অস্বস্তি অনেকাংশে কমে যায়। নিয়মিত সতর্কতা, হালকা পোশাক, ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার এবং সানস্ক্রিন লাগানো ত্বককে অতিরিক্ত রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
সব মিলিয়ে এই প্রক্রিয়া শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী রাখে এবং পুনরায় ক্ষতির সম্ভাবনা কমায়।সর্বশেষে বলা যায় সানবার্ন থেকে আরাম পাওয়া মূলত সচেতনতা ধৈর্য এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে সম্ভব। এই ১০টি পয়েন্ট মেনে চললে ত্বক দ্রুত সুস্থ হয় শরীর আরাম অনুভব করে এবং আপনি রোদ উপভোগ করতে পারবেন ভয় বা অস্বস্তি ছাড়া। তাই ত্বকে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে করণীয় প্রতিটি ধাপকে গুরুত্ব দিয়ে পালন করা উচিতকারণ ত্বকের সুস্থতা ও আরাম সবসময়ই প্রথম অগ্রাধিকার।
আরও পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন



Scroll Tips 24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url