বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণে বের হওয়ার সময় অনেকেই খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে যান। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা করলে অল্প বাজেটেও বিদেশ ভ্রমণ সম্ভব।

বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন কিছু গন্তব্য আছে যেখানে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়। ভিসা, ফ্লাইট খরচ, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা মিলিয়ে এসব দেশ ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি। তাই যারা নতুন জায়গা ঘুরতে চান কিন্তু খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, তাদের জন্য এই গাইডলাইন অনেক সহায়ক হবে।

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়  এটা অনেক ভ্রমণপ্রেমীর সাধারণ প্রশ্ন। আসলে সব দেশই ভ্রমণযোগ্য, তবে বাজেটের দিক থেকে কয়েকটি দেশ বিশেষভাবে জনপ্রিয়। নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটান বা মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো তুলনামূলক কম খরচে ভ্রমণ করা সম্ভব। এই দেশগুলোতে যাওয়া যায় সোজাসাপ্টা ফ্লাইট বা কখনও স্থলপথেও, যা খরচকে আরও কমিয়ে আনে।

যারা প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এসব দেশ অনেকটা সাশ্রয়ী হয়। টিকিটের দাম কম, ভিসার ঝামেলাও কম, আবার থাকার ও খাওয়ার খরচও অনেকটা বাজেটের মধ্যে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, সংস্কৃতি, প্রকৃতি আর মানুষের আতিথেয়তা মিলিয়ে এই গন্তব্যগুলো ভ্রমণকারীর জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

নেপালে হিমালয়ের সৌন্দর্য, ভারতে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান, শ্রীলঙ্কায় সমুদ্রসৈকত বা মালয়েশিয়ার আধুনিক শহুরে জীবন সবকিছুই বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য টানার মতো জায়গা। আর এসব দেশেই সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনি চাইলে খুব সীমিত খরচে একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রিপ শেষ করতে পারবেন।

অন্যদিকে যারা নিয়মিত ভ্রমণ করতে চান, তারা জানেন যে বাজেট ঠিকমতো ধরতে পারলে প্রতি বছরই একবার বিদেশে যাওয়া সম্ভব। আর এজন্য এই দেশগুলো একেবারেই পারফেক্ট। তাই বাজেট ভ্রমণের সেরা দেশ খুঁজতে চাইলে প্রথমেই এসব দেশের নাম উঠে আসে।

নেপাল  প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সাশ্রয়ী গন্তব্য

নেপাল ভ্রমণের কথা উঠলেই প্রথমেই মনে আসে হিমালয়ের সৌন্দর্যের কথা। যারা বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় খুঁজছেন, তাদের জন্য নেপাল একটি দুর্দান্ত অপশন। কাঠমান্ডু, পোখারা কিংবা হিমালয়ের পাদদেশে ছোট শহরগুলো খুব সহজেই বাজেটের মধ্যে ঘুরে দেখা যায়। ঢাকায় থেকেও সরাসরি কাঠমান্ডুতে ফ্লাইট পাওয়া যায়, যার ভাড়া তুলনামূলক কম এবং আগেভাগে বুকিং দিলে আরও সাশ্রয়ী হয়ে যায়।

নেপালে থাকার ব্যবস্থা খুবই বাজেট ফ্রেন্ডলি। ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল থেকে শুরু করে ছোট গেস্ট হাউজ  সবই পাওয়া যায় ১০ থেকে ২০ ডলারের মধ্যে। খাবারও বেশ সস্তা, নেপালি খাবার যেমন দাল ভাত তারকারি বা মোমো খেতে গেলে খরচ বেশি হয় না। এর ফলে ভ্রমণকারীরা সহজেই কয়েক দিনের জন্য বাজেট অনুযায়ী ট্রিপ প্ল্যান করতে পারেন।

প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নেপাল সত্যিই এক স্বর্গ। এখানে আপনি চাইলে ট্রেকিংয়ে যেতে পারেন, অথবা পোখারার ফেওয়া লেকের পাশে বসে নিরিবিলি সময় কাটাতে পারেন। অনেকেই কাঠমান্ডুর ঐতিহাসিক মন্দির ঘুরে দেখেন, আবার কেউ কেউ হিমালয় ভিউয়ের জন্য অল্প সময়ের ফ্লাইট রাইডও নেন। এসব অভিজ্ঞতা নিতে খুব বেশি খরচ হয় না, বরং অনেক কম বাজেটে চমৎকার ভ্রমণ উপভোগ করা যায়। নেপালের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। স্থানীয়রা সবসময় পর্যটকদের সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকে, যা ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে। তাই যারা কম বাজেটে প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে চান এবং ভিন্ন সংস্কৃতির স্বাদ নিতে চান, তাদের জন্য নেপাল নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য।

আরও পরুনঃবাংলাদেশে বাজেট ফ্রেন্ডলি ভ্রমণ গন্তব্য

ভারত  ইতিহাস আর বৈচিত্র্যের দেশ

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তার তালিকায় ভারতের নাম সবসময়ই শীর্ষে থাকে। ভিসা, যাতায়াত আর খরচের দিক থেকে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে সহজ আর জনপ্রিয় গন্তব্য। ঢাকার সাথে কলকাতার যোগাযোগ খুবই সহজ এবং সস্তা। বাস, ট্রেন বা ফ্লাইট – যে মাধ্যমেই যান না কেন, খরচ খুব বেশি হয় না। আর ভিসা পাওয়াও তুলনামূলক সহজ, তাই ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে খুব একটা ঝামেলায় পড়তে হয় না।

ভারতে ভ্রমণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ভিন্ন ভিন্ন শহর এবং অঞ্চলের বৈচিত্র্য। কলকাতায় গেলে আপনি পাবেন সংস্কৃতি আর ইতিহাসের ছোঁয়া, দিল্লি আর আগ্রায় ঘুরলে মুঘল স্থাপত্যের অপরূপ রূপ দেখতে পারবেন। যারা পাহাড় ভালোবাসেন, তারা দার্জিলিং বা শিলিগুড়ি যেতে পারেন। আবার যারা সমুদ্রসৈকত চান, তাদের জন্য গোয়া বা পুরী অপেক্ষা করছে। সব মিলিয়ে ভারত এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিটি ধরনের ভ্রমণকারীর জন্য কিছু না কিছু বিশেষ কিছু আছে।

খরচের দিক থেকে ভারত বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি। কলকাতায় খাওয়ার খরচ বাংলাদেশ থেকে বেশি নয়, বরং অনেক জায়গায় আরও কম। স্থানীয় হোটেলে খেলে দিনে কয়েকশ টাকার মধ্যেই খাবার মিটে যায়। থাকার ব্যবস্থাও অনেক রকম, লজ থেকে শুরু করে গেস্ট হাউস কিংবা বাজেট হোটেল  সবই সহজলভ্য। আগেভাগে বুকিং করলে খুবই সস্তায় মানসম্মত হোটেলে থাকার সুযোগ পাওয়া যায়।

ভারত শুধু ভ্রমণ নয়, কেনাকাটার জন্যও জনপ্রিয়। বিশেষ করে কলকাতায় নিউ মার্কেট বা গড়িয়াহাটে গেলে কম খরচে অনেক কিছু কেনা যায়। অনেকেই চিকিৎসা কিংবা পড়াশোনার জন্য ভারতে যান, আর সাথে কিছুটা ঘুরে বেড়ানোও হয়ে যায়। এই দিক থেকেও ভারত একেবারেই সুবিধাজনক।যারা খুঁজছেন বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশ যাবেন এবং সেইসাথে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য ভারত নিঃসন্দেহে সেরা গন্তব্যগুলির একটি। এখানে প্রতিটি শহরই আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়, আর খরচের দিক থেকেও সহজে ম্যানেজ করা যায়।

শ্রীলঙ্কা  দ্বীপরাষ্ট্রের সবুজ সৌন্দর্য

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, তার মধ্যে শ্রীলঙ্কার নামও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য আর সমুদ্রসৈকতের জন্য ভ্রমণকারীদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। রাজধানী কলম্বো থেকে শুরু করে ক্যান্ডি, নুয়ারা এলিয়া কিংবা গলে  প্রতিটি জায়গায়ই ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

শ্রীলঙ্কার ভ্রমণ খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক বাজেট ফ্রেন্ডলি। কলম্বোতে থাকার জন্য সাধারণ হোটেল, হোস্টেল থেকে শুরু করে বাজেট গেস্টহাউস সবই পাওয়া যায়। খাওয়ার জন্য স্থানীয় খাবারের দোকানগুলো বেশ সস্তা এবং সুস্বাদু। বিশেষ করে “রাইস অ্যান্ড কারি” নামের জনপ্রিয় খাবারটি খুবই কম দামে খাওয়া যায়। আর যাতায়াত খরচও বেশি নয়, ট্রেন বা বাসে পুরো দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া সম্ভব অল্প টাকায়।

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর সমুদ্রসৈকত। বেন্টোটা, মিরিসা কিংবা উনাওয়াতুনার সৈকত পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে প্রিয়। যারা ঢেউয়ের সাথে সময় কাটাতে চান বা সার্ফিং ভালোবাসেন, তাদের জন্য এগুলো স্বপ্নের জায়গা। অন্যদিকে, নুয়ারা এলিয়ার চা বাগান আর ক্যান্ডির ঐতিহ্যবাহী মন্দির দর্শনার্থীদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়। ইতিহাসপ্রেমীরা প্রাচীন শহর অনুরাধাপুরা ঘুরে দেখতে পারেন, যা বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।

শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের আরেকটি সুবিধা হলো এখানকার ভিসা প্রক্রিয়া। অনলাইনে সহজেই ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) পাওয়া যায়, যা ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে। আর ফ্লাইটের খরচও বর্তমানে বেশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলম্বো ফ্লাইট পাওয়া যায়, তাই যাত্রা সময়ও কম লাগে।

সব দিক বিচার করলে যারা জানতে চান বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়, তাদের জন্য শ্রীলঙ্কা এক দারুণ বিকল্প। সুন্দর সৈকত, সবুজ পাহাড়, ঐতিহাসিক নিদর্শন আর সুস্বাদু খাবারের সমন্বয় এটিকে ভ্রমণকারীদের কাছে বিশেষ জায়গা করে তুলেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, অল্প বাজেটেও এখানে দারুণ অভিজ্ঞতা নেওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়

নেপাল  পাহাড় আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য

নেপাল এমন একটি দেশ যা ভ্রমণকারীদের হৃদয় জয় করে নেয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পাহাড়ি পরিবেশ দিয়ে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সস্তা ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াও তুলনামূলক সহজ এবং বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে। ফলে যারা কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ করতে চান, তাদের তালিকায় নেপালের নাম সবসময় থাকে।

নেপালের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো হিমালয় পর্বতমালা। অনেকেই শুধু হিমালয়ের কাছ থেকে অপূর্ব দৃশ্য দেখার জন্য এখানে আসেন। কাঠমাণ্ডু ভ্যালি ঘুরলে দেখা মিলবে ঐতিহ্যবাহী মন্দির, প্রাচীন স্থাপত্য এবং পাহাড়ের গা ঘেঁষে তৈরি শহরের অনন্য সৌন্দর্য। আবার পোখরায় গেলে শান্ত হ্রদের পাশে বসে পাহাড়ের প্রতিচ্ছবি উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিজ্ঞতা ভ্রমণকারীদের মনে চিরস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করে।

খরচের দিক থেকে নেপাল সত্যিই সাশ্রয়ী। কাঠমাণ্ডু বা পোখরায় স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খুব অল্প টাকায় পেট ভরে খাবার খাওয়া যায়। থাকার জন্যও অনেক বাজেট হোটেল এবং গেস্টহাউস রয়েছে। যারা একটু এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা হোস্টেল বা হোমস্টেতে থেকেও অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। নেপালে অনেক জায়গায় স্থানীয়রা অতিথিদের নিজের বাড়িতে থাকার সুযোগ দেয়, যা খরচে কম এবং অভিজ্ঞতায় অনন্য।

নেপাল ভ্রমণের আরেকটি দারুণ দিক হলো এখানে ট্রেকিংয়ের সুযোগ। ছোট থেকে বড় সব ধরনের ট্রেকিং রুট রয়েছে, যেগুলো বাজেট ফ্রেন্ডলি এবং নিরাপদ। অনেক বাংলাদেশি তরুণ নেপালে গিয়ে ট্রেকিং করে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। শুধু ভ্রমণ নয়, এ ধরনের কার্যকলাপ ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।নেপাল একদিকে যেমন প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্য, তেমনি বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্যও দারুণ একটি দেশ। পাহাড়, সংস্কৃতি আর মানুষের আতিথেয়তা সব মিলিয়ে নেপাল ভ্রমণ যে কোনো পর্যটকের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।

আরও পরুনঃসস্তায় বান্দরবান ট্যুর বাজেট ফ্রেন্ডলি ভ্রমণ পরিকল্পনা

ভুটান  সুখী মানুষের দেশ

ভুটান ভ্রমণের নাম শুনলেই অনেকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্ত পাহাড়, মেঘে ঢাকা উপত্যকা আর একধরনের নির্মল পরিবেশ। ভুটানকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ, কারণ এখানকার মানুষ তাদের সহজ-সরল জীবনযাপন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে নিজেদের মিলিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য ভুটান ভ্রমণ তুলনামূলক সহজ এবং খরচেও খুব বেশি নয়, তাই যারা কম বাজেটে বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাদের জন্য ভুটান হতে পারে সেরা গন্তব্যগুলোর একটি।

ভুটানের রাজধানী থিম্পু আর ঐতিহাসিক শহর পারো ভ্রমণকারীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। থিম্পুতে গেলে আধুনিকতা আর প্রাচীনতার মিশেল দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে একদিকে আছে উন্নত শহরের ছাপ, অন্যদিকে আছে বৌদ্ধ মঠ আর দারুণ দারুণ ভাস্কর্য। পারো শহর বিখ্যাত তার টাকসাং মঠের জন্য, যা পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা এক অপূর্ব স্থাপত্য। এই মঠে উঠতে গেলে কিছুটা কষ্ট করতে হয়, তবে ওপরে উঠেই পাহাড় আর প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখে সেই কষ্ট সার্থক মনে হয়।

খরচের দিক থেকে ভুটান ভ্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। স্থানীয় হোটেল বা গেস্টহাউসে থাকার খরচ বাংলাদেশি পর্যটকদের নাগালের মধ্যেই। খাবারের দিক থেকেও ভুটান খুব ব্যয়বহুল নয়। এখানে স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় খাবারও সহজলভ্য, তাই খাবার নিয়ে আলাদা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া ভ্রমণের সময় স্থানীয় বাজার থেকে হস্তশিল্প কিংবা ছোটখাটো জিনিসপত্র খুব কম দামে কেনা যায়, যা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।

ভুটান শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা স্থাপত্যের জন্য নয়, সংস্কৃতি আর আধ্যাত্মিকতার জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত। এখানে গেলে বৌদ্ধ সংস্কৃতির গভীর প্রভাব খুব সহজেই অনুভব করা যায়। ভ্রমণকারীরা স্থানীয় উৎসব বা মঠে গেলে সেই আধ্যাত্মিক শান্তি সরাসরি উপভোগ করতে পারেন। এই দিক থেকেই ভুটানকে অন্য দেশ থেকে আলাদা বলা যায়।ভুটান এমন একটি দেশ যেখানে গেলে শুধু ভ্রমণের আনন্দই পাওয়া যায় না, সাথে মনে হয় যেন মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া গেল। শান্ত পরিবেশ, সুখী মানুষ আর অপরূপ প্রকৃতিসব মিলিয়ে ভুটান ভ্রমণ জীবনভর মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।

মালয়েশিয়া  শহর আর প্রকৃতির মিশেল

মালয়েশিয়া ভ্রমণের নাম শুনলেই সবার আগে মনে আসে কুয়ালালামপুরের বিখ্যাত পেট্রোনাস টাওয়ার। তবে এই দেশ শুধু আধুনিক শহরের জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং এখানে একইসাথে সমুদ্র, পাহাড়, দ্বীপ আর চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাই যারা একসাথে শহরের আভিজাত্য আর প্রকৃতির শান্ত সৌন্দর্য দেখতে চান, তাদের জন্য মালয়েশিয়া হতে পারে দারুণ একটি গন্তব্য।

কুয়ালালামপুর শহর আধুনিকতার প্রতীক। এখানে আকাশচুম্বী ভবন, বড় শপিং মল, দৃষ্টিনন্দন রেস্টুরেন্ট আর রঙিন রাতের জীবন সবকিছুই ভ্রমণকারীদের মন কাড়ে। শহরে ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি এখানে শপিং করাও অনেক সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে যারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয়।

শুধু শহর নয়, মালয়েশিয়ার দ্বীপগুলোও পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণ। লাংকাউই আর পেনাং দ্বীপ পর্যটকদের কাছে বিশেষ প্রিয়। লাংকাউইতে গেলে সমুদ্রের নীল জল, কেবল কার রাইড আর প্রাকৃতিক দৃশ্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। অন্যদিকে, পেনাং বিখ্যাত তার সমুদ্র সৈকত আর ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য। এখানে গেলে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করা উচিত নয়, কারণ মালয়েশিয়ার স্ট্রিট ফুড এশিয়ার সেরা খাবারের মধ্যে ধরা হয়।

খরচের দিক থেকেও মালয়েশিয়া তুলনামূলক সাশ্রয়ী। হোটেল ভাড়া, খাবার আর ভ্রমণ খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকে। বিশেষ করে যারা দলবেঁধে ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য খরচ আরও কমে আসে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার বিমান ভাড়া অনেক সময় সস্তা টিকেট অফারের কারণে বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে।মালয়েশিয়া ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এখানে আধুনিকতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পাশাপাশি উপভোগ করা যায়। একদিকে আপনি ব্যস্ত শহরের ভিড়ে আধুনিক জীবনযাত্রা অনুভব করবেন, আবার অন্যদিকে শান্ত দ্বীপে গিয়ে প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হতে পারবেন।

নেপাল  হিমালয়ের দেশ

নেপাল এমন এক দেশ যা পাহাড়প্রেমীদের স্বপ্নের মতো। এখানে এসে আপনি শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, পাহাড় আর পর্বতমালার অপরূপ দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এর মধ্যে নেপাল একটি বিশেষ জায়গা হিসেবে বিবেচিত। ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায় এবং খরচও তুলনামূলক কম।

নেপালের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো হিমালয় পর্বতমালা। কাঠমাণ্ডু, পোখরা, লুম্বিনী বা অন্য ছোট শহরগুলোতে গিয়ে পাহাড়ের সঙ্গে শহরের মিশেল উপভোগ করা যায়। পোখরায় হ্রদের পাশে বসে পাহাড়ের প্রতিচ্ছবি দেখা বা ট্রেকিং করা ভ্রমণকারীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে যারা প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য নেপাল সত্যিই এক স্বর্গ।

খরচের দিক থেকেও নেপাল অনেক সাশ্রয়ী। এখানে হোস্টেল, বাজেট হোটেল বা স্থানীয় গেস্টহাউসে খুব কম খরচে থাকা যায়। খাবারও অনেক সস্তা এবং সহজলভ্য। স্থানীয় বাজারে হাতের তৈরি জিনিসপত্র কিনলেও খরচ খুব বেশি হয় না। ফলে অল্প বাজেটে পুরো ট্রিপ উপভোগ করা সম্ভব।

নেপালে ভ্রমণ শুধু পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো নয়, এখানে অনেক স্থাপত্য ও সংস্কৃতিও রয়েছে। কাঠমাণ্ডু ভ্যালি বা লুম্বিনীতে ঐতিহ্যবাহী মন্দির ঘুরে দেখলে ইতিহাসের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। যারা পাহাড়প্রেমী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য নেপাল ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। অল্প খরচে এখানে ভ্রমণ করলে মনে হবে পুরো ট্রিপই স্মরণীয় হয়ে গেছে।

থাইল্যান্ড সমুদ্র ও সংস্কৃতির দেশ

থাইল্যান্ড ভ্রমণকারীদের কাছে সবসময়ই আকর্ষণীয় দেশ হিসেবে পরিচিত। সমুদ্রসৈকত, সবুজ বন, বৌদ্ধ মঠ, প্রাণবন্ত স্থানীয় বাজার এবং রঙিন সংস্কৃতি সব মিলিয়ে এটি একটি স্বপ্নের ভ্রমণ গন্তব্য। যারা বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় খুঁজছেন, তাদের জন্য থাইল্যান্ড সবসময়ই শীর্ষ পছন্দ। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়, যা সময় ও খরচ দুই দিক থেকেই সুবিধাজনক।

থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় শহরগুলো হলো ব্যাংকক, ফুকেট, পাট্টায়া এবং চিয়াং মাই। ব্যাংককে গেলে শহরের আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য একসাথে উপভোগ করা যায়। রাতে শহরের রঙিন বাজারগুলো ঘুরে দেখতে ভ্রমণকারীরা অনেক আনন্দ পান। ফুকেট ও পাট্টায়ার সৈকতগুলো শান্তি ও বিনোদনের জন্য অসাধারণ। সৈকতের পাশে বসে সূর্যাস্ত দেখা, নৌকাভ্রমণ বা সাঁতার উপভোগ করা একেকটা মুহূর্তই মনে রাখার মতো।

খরচের দিক থেকেও থাইল্যান্ড অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ। হোস্টেল, বাজেট হোটেল বা স্থানীয় গেস্টহাউসে থাকা সহজলভ্য। খাবারও কম খরচে সুস্বাদু। রাস্তার পাশে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে প্যাড থাই, ফ্রেশ ফল বা স্থানীয় মিষ্টি খাবার পাওয়া যায় অল্প দামে। এছাড়া স্থানীয় বাজার থেকে হস্তশিল্প বা ছোটখাটো উপহার কেনাও খুবই সাশ্রয়ী। বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য এটি একেবারেই আদর্শ।থাইল্যান্ডের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার অভিজ্ঞতাও বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। বৌদ্ধ মঠ, ঐতিহ্যবাহী উৎসব এবং স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে। স্থানীয়রা অতিথিপরায়ণ, তাই পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় শিল্প ও কারুশিল্পও পর্যটকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শহরের আধুনিকতার মিশেল থাইল্যান্ডকে অন্য দেশের তুলনায় বিশেষ করে তোলে। সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি এলাকা, নদী বা বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য সব মিলিয়ে একটি বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। যারা প্রকৃতি, সমুদ্র এবং সংস্কৃতির একসাথে অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য থাইল্যান্ড নিঃসন্দেহে সেরা গন্তব্য। বাজেট অনুযায়ী ভ্রমণ করেও থাইল্যান্ডে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করা সম্ভব। এই দেশে প্রতিটি শহর, প্রতিটি সৈকত এবং প্রতিটি বাজারই ভ্রমণকারীদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে।

ইন্দোনেশিয়া ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ দ্বীপপুঞ্জের স্বপ্ন

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, খুঁজলে ইন্দোনেশিয়া সবসময়ই তালিকার শীর্ষে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপপুঞ্জ দেশ হিসেবে এটি অসংখ্য দ্বীপ, সমুদ্র সৈকত, সবুজ জঙ্গল এবং বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। প্রতিটি দ্বীপের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করে।

বালি, জাকার্তা, জোগ্জাকার্তা, লম্বকউই এবং সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাগুলো। বালি দ্বীপ তার সাদা বালি সৈকত, উজ্জ্বল নীল সমুদ্র, সার্ফিং এবং শান্ত হ্রদের জন্য বিখ্যাত। ভ্রমণকারীরা এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পারেন, যা স্মৃতিতে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। জাকার্তা শহরের আধুনিকতা ও স্থানীয় সংস্কৃতির সমন্বয় পর্যটকদের মুগ্ধ করে। জোগ্জাকার্তার প্রাচীন মন্দির এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনও বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।

খরচের দিক থেকেও ইন্দোনেশিয়া অনেকটাই সাশ্রয়ী। বাজেট হোটেল, হোস্টেল অথবা স্থানীয় গেস্টহাউসে থাকা সহজলভ্য। খাবারও কম খরচে সুস্বাদু পাওয়া যায়। স্ট্রিট ফুড, স্থানীয় ফল, সস্তা পরিবহন সব মিলিয়ে বাজেট ভ্রমণকারীর জন্য এটি উপযুক্ত। অল্প খরচে দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করে এখানকার প্রকৃতি ও সংস্কৃতি উপভোগ করা সম্ভব।

ইন্দোনেশিয়ার প্রকৃতিও এখানে ভ্রমণকে অসাধারণ করে তোলে। স্যান্ডি সৈকত, সবুজ পাহাড়, ঝর্ণা, বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। এখানকার অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রম যেমন ট্রেকিং, ডাইভিং, সার্ফিং এবং নৌকাভ্রমণ অনেক পর্যটকের কাছে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকটি দ্বীপের ভিন্ন প্রকৃতি ও পরিবেশ ভ্রমণকে নতুন দিক দেয়। ইন্দোনেশিয়া এমন এক দেশ যেখানে প্রতিটি দ্বীপই নতুন অভিজ্ঞতা দেয়। কম খরচে ভ্রমণ করেও পর্যটক সমুদ্র, পাহাড়, বন ও সংস্কৃতির এক অনন্য সমন্বয় উপভোগ করতে পারে। এই অভিজ্ঞতা শুধু মনে রাখার মতো নয়, পুরো ভ্রমণকেই স্মরণীয় করে তোলে।

বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়

শেষকথা

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা এক ঝাঁক দারুণ গন্তব্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। ভ্রমণ শুধু নতুন জায়গা দেখা নয়, এটি একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কৃতি ও জীবনধারার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। কম বাজেটে এই দেশগুলোতে যাওয়া সম্ভব, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, স্থাপত্য ও মানুষের আতিথেয়তা সবকিছুই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তোলে।প্রতিটি দেশই আলাদা ধরনের অভিজ্ঞতা দেয়। ভুটান, মালয়েশিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সব জায়গারই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং আকর্ষণ রয়েছে। পাহাড়প্রেমী, সমুদ্রপ্রেমী, সংস্কৃতি-প্রেমী বা শহর দর্শনের শখ যাঁদের আছে, তাঁদের জন্য প্রতিটি গন্তব্যই উপযুক্ত। এই ধরনের পরিকল্পিত ভ্রমণ শুধু আনন্দ দেয় না, বরং বাজেট নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

কম খরচে ভ্রমণ করতে গেলে পরিকল্পনা এবং সময়ের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে ফ্লাইট, সাশ্রয়ী হোটেল এবং স্থানীয় খাবারের ব্যবস্থা করলে পুরো ট্রিপ আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। এছাড়া স্থানীয় অভ্যাস এবং সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো ভ্রমণকে আরও অর্থবহ করে তোলে।সবশেষে বলা যায়, শুধুমাত্র খরচের হিসাব নয়, বরং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, নতুন স্মৃতি এবং মানসিক প্রশান্তিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা এবং সাশ্রয়ী বাজেটের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণকে সহজ, আনন্দদায়ক এবং স্মরণীয় করে তোলা সম্ভব।এই অভিজ্ঞতাগুলো শুধু ভ্রমণের আনন্দ দেয় না, বরং জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে। তাই যারা নতুন জায়গা দেখতে এবং বাজেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য এই দেশগুলো এক অসাধারণ সুযোগ।

আরও পরুনঃসস্তায় কক্সবাজার ট্যুর বাজেট ফ্রেন্ডলি ভ্রমণ পরিকল্পনা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Scroll Tips 24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url